দীপু নাম্বার টু'র দীপু
'ওকাপিয়া' মোবাইলের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে ২০ বছর পর ফিরলেন অরুণ সাহা । দর্শকদের চোখে আজও তিনি সেই
দীপু ! ! !
বিজ্ঞাপনে তিনি নতুন মুখ হলেও তাঁর কাজে খুশি নির্মাতা । দর্শকরাও ফিরে পেয়েছেন হারানো দীপুকে ।
ভাবেননি আবার কখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন। আর যদি নাও সুযোগ পেতেন, তবুও তিনি দীপু হয়েই মানুষের অন্তরে থেকে যেতেন। ২০ বছর পর তাঁর ফেরার ঘটনা তাই প্রমাণ করে। চারদিকে হইচই ! ! !
দীপু এসেছে।
১৩ বছর বয়সে
'দীপু নাম্বার টু' ছবিতে কিশোর দীপু চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তাঁর আসল নাম
অরুণ সাহা হারিয়ে যায়। পরিচিত হয়ে ওঠেন দীপু নামেই। মুহম্মদ জাফর ইকবালের রচনা ও মোরশেদুল ইসলামের পরিচালনায় ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তখন তিনি ক্লাস সেভেনে পড়েন।
এবার তাঁকে ফেরালেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন।
'ওকাপিয়া' মোবাইলের '
মায়ের জন্য ভালোবাসা' শিরোনামের বিজ্ঞাপনটি প্রচারের আগেই ফের আলোচনায় আসেন দীপু। এখন সবচ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে বিজ্ঞাপনটি। এতে দেখা যায়, প্রতিটি মায়ের মতো তাঁকে অনেক যত্নে মানুষ করেছেন মা। চোখে-চোখে রেখেছেন সব সময়। এক সময় ছেলে পড়াশোনা করে চাকরি নেন। এবার বৃদ্ধ মায়ের প্রতি তাঁর দায়িত্বের পালা। মা হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছেলে অফিসে। ভাগ্যিস ওকাপিয়া মোবাইলটা তাঁকে কিনে দিয়েছিলেন। সেটা দিয়ে ঠিক সময়ে মা ছেলেকে কল দেন বলেই ডাক্তারের কাছে নিতে দেরি হয় না। সুস্থ হয়ে ওঠেন মা।
অরুণ সাহা বলেন, 'দীপু নাম্বার টু'রপর আর নিয়মিত অভিনয় করা হয়নি। পড়াশোনার কারণেই মূলত এ সিদ্ধান্ত। অবশেষে অনেক বছর পরএ বিজ্ঞাপনে কাজ করে ভালো লেগেছে। অনেক সাড়া পাচ্ছি। সবাই বলছে, এবার যেন কাজে নিয়মিত হই।'
শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, 'ইউনিটে সবাই তাঁকে দীপু নামেই ডেকেছে। এতে অরুণ সাহা নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দীপুকে কেউ ভোলেনি। আর তিনি চাইলে অভিনয়ে নাম করতে পারবেন। এক্সপ্রেশনগুলো তিনি নিজে থেকেই দিতে পারেন, খুব কমই দেখিয়ে দিতে হয়েছে। বৃদ্ধ মায়ের প্রতি যুবক সন্তানের দায়িত্ব ও ভালোবাসামাখা দৃশ্যগুলোতে তিনি সফল। দীপু সম্ভাবনাময়। তাঁকে নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত।'
দিপু নাম্বার টু'র EBook টি ডাউনলোড করতে চাইলে
এইখানে যান । । ।
সেই এ্যাডটি দেখুন ! ! !
তথ্যসূত্রঃ কালের কন্ঠ পত্রিকা
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আসসালামু আলাইকুম ।
Mohammad Mehedi Hasan Palash